কেয়ামত ও হাশর (হাদিস এর আলোকে)

২৭৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কুরআন যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না। তারপর আকাশের চর্তুদিকে মৌমাছির গুণ গুণ শব্দের মত কুরআনের গুণ গুণ শব্দ হতে থাকবে। তখন মহান ও প্রতাপশালী রব বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” কুরআন বলবে, “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়েছিলাম এবং তোমার কাছে ফিরে আসব। আমাকে পাঠ করা হয়, কিন্তু আমার কথামত আমল করা হয় না।” তখন কুরআনকে উঠিয়ে নেয়া হবে।”
দায়লামী এ হাদীসটি হযরত ইবনে আমর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর মুঠোর মধ্যে আকাশ ও পৃথিবী
২৭৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় কেয়ামতের দিন মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ সাতটি আকাশ এবং পৃথিবী নিজের মুঠের মধ্যে ধারণ করে বলবেন, “আমি আল্লাহ্‌, আমি অশীম দয়ালু, আমি রাজাধিরাজ, আমি পরম পবিত্র, আমি শান্তি, আমি রক, আমি শক্তিশালী ও মতাবান, আমি গর্বের অধিকারী। আমিই পৃথিবী সৃষ্টি করেছি যখন তা কিছুই ছিল না, আমি পুনরায় তা ফিরিয়ে আনব। শাসকগণ কোথায়? জুলুমকারীগণ কোথায়?”
এ হাদীসটি আবুশ শায়খ সংগ্রহ করেছেন।
উলঙ্গ ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত হওয়া
২৭৮. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে খালি পায়ে, উলঙ্গ ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। আর সর্বপ্রথম যাকে পোশাক পরান হবে, তিনি হচ্ছেন ইবরাহীম খলীল (আ) মহান আল্লাহ্‌ বলবেন, “আমার বন্ধু ইবরাহীমকে পোশাক পরাও, লোকজন যেন তার মর্যাদা বুঝতে পারে।” তারপর অপরাপর লোককে তাদের আমলের মান অনুযায়ী পোশাক পরান হবে।”
আবূ নুয়াঈ’ম এ হাদীসটিতলাক ইবনে হাবীব থেকে তিনি তার দাদা থেকে সংগ্রহ করেছেন।
অংগ প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য
২৭৯. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমরা আমাকে এটা জিজ্ঞেস কর না, কি জন্য আমি হেসেছি। কেয়ামতের দিন বান্দা ও তার রবের মধ্যে যে তর্ক- বিতর্ক হবে তাতে আমি আশ্চর্যম্বিত হয়েছি। বান্দা বলবে, “হে আমার রব! তুমি কি আমাকে প্রতিশ্রতি দাওনি য, আমার প্রতি তুমি জুলুম করবে না।?” আল্লাহ বলবেন, “হ্যাঁ”। বান্দা বলবে, “তবে আমি আমার নিজের সাক্ষ্য ছাড়া অপর কারো সাক্ষ্য মানব না।” তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, “আমি নিজেও কি যথেষ্ট সাক্ষী নই? অথবা মর্যাদাশীল লেখক ফেরেশতারাও কি সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট নয়?” বান্দা বহুবার তা নাকচ করে দেবে। তখন তার মুখে মোহর লাগান হবে এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বলতে থাকবে, পৃথিবীতে সে কি করেছিল। তখন বান্দা (মনে মনে) বলবে, “তোরা দূর হয়ে যা, তোরা ধ্বংস হ, তোদের জন্যই আমি সংগ্রাম করেছিলাম।”
এ হাদীসটি হাকেম সংগ্রহ করেছেন।
পাপ পূণ্য বিনিময়
২৮০. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত প্রতিপালক বলেছেন, “বান্দার পূণ্য ও পাপসমূহ উপস্থিত করা হবে। অতঃপর তার কতগুলো পরসপরের সাথে বিনিময় করা হবে। অতপর যদি একটি পূণ্যও অবশিষ্ট থাকে তবে তা দিয়ে আল্লাহ তার জন্য বেহেশতে যাওয়ার পথ সুগম করে দেবেন।”
হাকেম এ হাদীসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আমল অনুযায়ী মর্যাদাঃ
২৮১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- এক লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে, অতঃপর তার গোলামকে তার চেয়েও বেশি মর্যাদায় অধিষ্ঠিত দেখতে পাবে। সে তখন আরয করবে, “হে আমার রব! গোলাম আমার চেয়েও উচ্চতর মর্যাদায় আসীন আছে।” আল্লাহ বলবেন, “তাকে আমি তার আমলের প্রতিদান দিয়েছি। আর তোমাকে তোমার আমলের প্রতিদান দিয়েছি।”
দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে
২৮২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশত ও দোযখ কলহ করল। বেহেশত বলল, আমার ভেতরে দূর্বল ও দারিদ্রগণ প্রবেশ করবে এবং দোযখ বলল, জালিম ও অহংকারীগণ আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। অনন্তর আল্লাহ্‌ জাহান্নামকে বললেন, “তুমি আমার আযাব। তোমাকে দিয়ে যাকে ইচ্ছে আমি শাস্তি দেই।” আর বেহেশতকে বললেন, “তুমি আমার রহমত। তোমাকে দিয়ে যাকে ইচ্ছে আমি অনুগ্রহ করি। আর তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নিজ নিজ স্থান নির্ধারিত রয়েছে।”
তিরমিযী ও মুসলিম এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। তারা একে হাসান ছহীহ বলেছেন।
২৮৩ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, “এ আমার করুনা, এর দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করি, অর্থাৎ তা হচ্ছে জান্নাত।”
শায়খাইন এ হাদীসটি সংগ্রহ করেছেন।
জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ প্রার্থী
২৮৪ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- (কেয়ামতের দিন) নিশ্চয়ই এক লোককে জাহান্নামের দিকে টেনে নেয়া হবে। তাকে দেখে জাহান্নাম সংকুচিত হতে থাকবে এবং তার একাংশ অন্য অংশকে ধরে রাখবে। তখন দয়াময় আল্লাহ্‌ তাকে বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” জাহান্নাম বলবে, “পৃথিবীতে সে সর্বদা আমার আযাব থেকে পরিত্রাণ প্রার্থনা করত। মোবারক ও মহান আল্লাহ্‌ তখন বলবেন, “আমার বান্দাকে ছেড়ে দাও।”
দায়লামী এ হাদীসটি ইবনে আব্বাস (সাঃ) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
২৮৫ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- (কেয়ামতের দিন) সুমহান আল্লাহ্‌ (ফেরেশতাদেরকে) বলেবেন, “আমার বান্দার আমলনামার প্রতি দৃষ্টি ফেল। অতঃপর যাকে তোমারা দেখ যে, সে আমার কাছে বেহেশত চেয়েছিল তাকে আমি বেহেশত দেব, আর যে আমার কাছে জাহান্নাম থেকে পরিত্রান চেয়েছিল, আমি তাকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি দেব।”
আবূ নুয়াঈ’ম এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জান্নাতীর চাষাবাদঃ
২৮৬ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশতীদের মধ্যে এক লোক তার প্রতিপালকের কাছে চাষাবাদ করার অনুমতি চাইবে। আল্লাহ্‌ তাকে বলবেন, “তুমি যা কিছু চেয়েছিলে তা কি এখানে নেই, ” সে বলবে, হ্যাঁ সব কিছু আছে, কিন্তু আমি চাষাবাদ করতে ভালবাসি।” তারপর সে বীজ রোপন করবে, অনন্তর চোখের পলকে বিজ অঙ্কুরিত হবে, চারা বড় হবে, ছড়া বের হবে এবং ফলস কাটার উপযোগী হয়ে যাবে। তারপর তা পাহাড়ের ন্যায় স্তুপীকৃত হবে। তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, “হে আদম সন্তান! লক্ষ্য কর। কোন কিছুই তোমাকে পরিতৃপ্ত করতে পারবে না।”
আহমদ ও বুখারী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
২৮৭ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ হিসাবের জন্য মানুষদেরকে সমবেত করবেন। অতঃপর দরিদ্র মু’মিনগণ কবুতর যেরূপ তাড়াতাড়ি উড়ে, সেরূপ তাড়াতাড়ি আসবে। তাদেরকে বলা হবে, “তোমরা হিসাবের জন্য দাড়াও।” তারা বলবে, “আমাদের কাছে কোন হিসাব নেই। আর হিসাব নেয়া যাবে এমন কিছু কি আপনি আমাদেরকে দান করেছিলেন? তখন আল্লাহ বলবেন, “আমার বান্দারা সত্য বলেছি।” অতএব তাদের জন্য বেহেশতের দ্বার খুলে দেয়া হবে। অনন্তর অন্যদের চেয়েও তারা সত্তর বছর আগে বেহেশতে প্রবেশ করবে।”
আবূ ইয়ালা, তিবরানী ও ইবনে আসাকির এ হাদীসটি হযরত সাদ ইবনে আমের ইবনে হুজাইমের (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
২৮৮ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন গরীব মুসলমানগণ কবুতরের ন্যায় তাড়াতাড়ি চলবে। তাদেরকে বলা হবে, “হিসাবের জন্য থাম।” তারা বলবে, “আল্লাহর কসম! আমরা এরূপ কিছুই রেখে আসিনি, যার জন্য আমাদের হিসাব নেয়া হবে।” তখন মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ বলবেন, “আমার বান্দারা সত্য বলেছে।” এতএব তারা অপরাপরদের চেয়ে সত্তর বছর আগে বেহেশতে প্রবেশ করবে।”
তিবরানী এ হাদীসটি হযরত সাঈদ ইবনে আমের ইবনে হুজায়ম (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
২৮৯ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন নিশ্চয় জনৈক বান্দা তার আমলনামা খোলা অবস্থায় দেখবে এবং তার দিকে তাকাবে। তাতে সে এরূপ কতকগুলো পূণ্য দেখতে পাবে, যা সে করেনি। সে তখন বলবে, “ইয়া রব! আমার জন্য এটা কোথা থেকে এল?” আল্লাহ্‌ বলবেন, “সে গীবৎ সমূহ, তোমার বিরুদ্ধে লোকেরা যা বলাবলি করেছিল অথচ তুমি তা অনুভব করনি।”
আবূ নুয়াঈ’ম এ হাদীসটি হযরত শাবীব ইবনে সা’দা বালাওয়ী (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

কিছু মজার তথ্য

* বুদ্ধিমান ব্যাক্তির বেশি তামা এবং দস্তা থাকে তাদের চুলে।
* পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মা-বাবা হচ্ছে ৮ এবং ৯ বৎসর বয়সের। তারা চীনে থাকত।
* মানুষের একটি চোখ জন্মের থেকে একই থাকে। আরেকটি শুধু বাড়ে। দুটো একসাথে বাড়ে না।
* আপনি ঘুমিয়ে থেকে বেশি কেলরি ক্ষয় করেন বসে বসে টিভি দেখার চেয়ে।
* না খেয়ে মরার চেয়ে না ঘুমিয়ে আপনি আগে আগে মরতে পারেন। আপনি ১০ দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারেন।
* পেঁয়াজ কাটার সময় আপনি গাম যদি কামরাতে থাকেন, তাহলে আপনার চোখ থেকে জল আসবে না।
* মোনা লিসার ছবিতে কোনো আইব্রো নেই।
* যখন চাঁদ আপনার ঠিক উপরে, তখন আপনার ওজন একটু কম হবে।
* এলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল কখনই তার মা অথবা বউকে ফোন করেনি, কারন তারা দুইজন বিধির ছিলো।
* “I Am” ইংরেজীর সবচেয়ে ছোট বাক্য।
* স্প্যানিসে Colgate মানে হচ্ছে “নিজের গলায় দড়ি দাও”

কয়েকটি অমর প্রাণী!!!!!

কি শিরোনাম দেখেই ভড়কে গেলেন? আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করাবো এমন ৫ টা প্রাণী যেগুলো কে মারা প্রায় অসম্ভব অথবা যেগুলো যে কোনো সিচুয়েশনই সারভাইভ করতে পারে।

১. ইস্ট আফ্রিকান জায়ান্ট স্নেইল :

৭ সে,মি উচ্চতা এবং ২০ সে,মি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই জাতীয় স্নেইল মূলত ইস্ট আফ্রিকান হলেও সাউদার্ণ ও ইস্টার্ণ এশিয়াতে ব্যপক হারে এদের দেখা যায়।। ইস্ট আফ্রিকান লোকজন বিষ, আগুন দিয়ে নানান ভাবে চেষ্টা করলেও এই প্রাণীকে হত্যা করতে পারে নি। এরা সাধারণত গাছ, লতা-পাতা ফল-মূল খেয়ে বেচে থাকে।

২. ওয়াটার বিয়ার:

টারডিগ্রেড বা ওয়াটার বিয়ার নামে সুপরিচিত এই মাইক্রোস্কপিক প্রাণীর শরীরে রয়েছে অস্বাভাবিক সহ্য ক্ষমতা। এরা একটি নিউক্লিয়ার বোমা এবং -২৭৩ ডিগ্রী পর্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও প্রায় এক যুগ ধরে পানি ছাড়া সারভাইভ করতে পারে। এদের মারার একমাত্র উপায় হচ্ছে পৃথিবীর বাইরে পাঠিয়ে দেয়া যেখানে ধরে নেয়া হয়েছে ১০ দিন এরা অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারবে।

৩. ট্রি ওয়েটা:

এদের পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে একসময় বেশ সুপরিচিত ছিলো। এদের রক্তে এক ধরণের স্পেশাল প্রোটিণ আছে যাতে করা এরা যে কোনো অবস্থায় রক্ত সন্চালন সচল রাখতে সক্ষম। কোনো ভাবে তাদের বরফে পরিণত করা হলেও এদের রক্ত চলাচল বন্ধ হবে না, পরিস্থিতি নরমাল হলে এরা আবার আগের মত চলাফেরা করতেই সক্ষম। এ পুরাই মরে বেচে উঠার মত অবস্থা লাইক যোম্বি!

৪. লাংফিশ:

এরা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন জলজ প্রাণী হিসেবে খ্যাত। এদের অবস্থা লক্ষ্য করা যায় শুধু মাত্র আফ্রিকা, সাউথ এমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়াতে। এরা টানা ৬ মাস বাতাস এবং পানি ছাড়া বেচে থাকতে পারে। ছয় মাস পর সামান্য পানি পেলেই এরা আবার সারভাইভ করতে পারবে।

৫. অমর জেলীফিশ:

সত্যিকারের অমর বলা যায় এই প্রজাতির জেলীফিশ কে। এরা স্বাভাবিক অন্য জেলীফিশের মত জন্ম গ্রহন করলেও লাইফের একটা স্টেইজে গিয়ে এরা আবার পলিপ(অর্থাৎ জন্মাবস্থায়) ফিরে যায়, আর এভাবেই এর লাইফ সার্কেল চলতেই থাকে অনির্দিষ্ট সময় ধরে।

এছাড়াও ব্যকটেরিয়া, হাইড্রা এবং লবস্টারকেও বায়োলজিক্যলি অমর বলা হয় ভিন্ন ভিন্ন কারণে।

সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া

ঘুম সম্পরকে কিছু অজানা এবং মজার তথ্য (ছবি ব্লগ)






গার্লফ্রেন্ডকে প্রপোজ করার নানান ধরন !



১. ব্ল্যাকমেইল স্টাইলঃ আমি তোমাকে ভালবাসি।
তুমি হ্যাঁ বললে তো ভালো। কিন্তু না বললে তখন
অন্য মেয়ে খুঁজতে হবে। আর সেটা তোমার বোন ও হতে পারে!! ;)

২. ডাইরেক্ট স্টাইলঃ শোনো মেয়ে,
আমি কোনো রকম ভূমিকা-টূমকা
না করে একেবারে সোজাসুজিভাবে তোমাকে একটা কথা বলে দিতে চাই।
- আমি তোমাকে ভালোবাসি। :P

৩. মাস্তানি স্টাইলঃ ওই মাইয়া, ভালবাসা দিবি কি-
না, বল!(চাকু/বন্দুক দেখিয়ে) :O

৪. যুক্তিবাদী স্টাইলঃ আমি তোমার ছোট
ভাইকে ভালোবাসি। তোমার ছোট ভাই
তোমাকে ভালোবাসে। অতএব, যুক্তিবিদ্যার
নিয়মে কি হয়? বাকিটা তুমিই বল!! :lol:

৫. চালাক স্টাইলঃ তুমি কি জানো, আমাদের জাতীয়
সংগীতের দ্বিতীয় লাইন টা কি?? ;)

৬. রসিক স্টাইলঃ Excuse me!
আমি তোমাকে প্রপোজ করতে চাই। please
অনুমতি দাও। :(

৭. হিজড়া স্টাইলঃ এই দুষ্টু মেয়ে। তুমি এ কি জাদু
করলা? তোমাকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়।
আবার তোমাকে না দেখলে অস্থিরতা মরে যাই।
তুমি কি জানো?
আমি তোমাকে অনেননননননননন….ক ভালোবাসি। :P

৮. ডিজুস স্টাইলঃ Hi,whatsup sweet
heart ? , wanna be maa
lavaa,actually I am in love with u ! :P :D

৯. ভীতু স্টাইলঃ ইয়ে মানে!! ইয়ে মানে !!!
আমি মানে ! আমি মানে তোমাকে ,……। ( আর
বলা হয় না ) :P

১০. গায়ক স্টাইলঃ গানের
গলা ভালো হলে একটা গান গেয়ে বলতে পারেন…
“এত ভেবে কি হবে? ভেবে কি করেছে কে কবে?
ভাবছি না আর, যা হবে হবার। এত দিন বলিনি,
তুমি জানতো আমি এমনি…… ভালবাসি !!” :)

১১. দেবদাস স্টাইলঃ কেউ আমাকে ভালবাসে না। এ
জীবন আমি রাখবনা। তোমার কাছে বিষ হবে? আমায়
বিষ দাও। আমায় বিষ দাও। (কান্নায় ভেঙ্গে পড়ুন) :P

১২. কাব্যিক স্টাইলঃ কবি কবি ভাব থাকলে ২
লাইন কবিতার মাধ্যমে প্রপোজ করতে পারেন !!
আশা করি এই টুকলিফাই এর যুগে কবিতার অভাবহবে না!! :D

১৩. অনুভূতিহীন স্টাইলঃ তোমাকে আমার খুব পছন্দ
হয়েছে। এখন তুমি আমাকে পছন্দ না করলেও
আমি পাঁচতলা থেকে লাফ দিবো না, বিষ খেয়েও
মরবো না। যদি আমাকে তোমার পছন্দ হয়,
তাহলে বল। ;)

তো আপনি কোন স্টাইলে করবেন? ;)

(পোষ্টটি সংগ্রহীত)

১ ঘণ্টায় ৪০ দোয়েল বিক্রি



ঢাকা ই-এশিয়ার প্রাঙ্গনে সবার নজরে ছিল দেশীয় ল্যাপটপ ‘দোয়েল’। এ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন থেকেই দোয়েল স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। শুরু থেকেই প্রযুক্তি ভক্তদের এ দেশি ল্যাপটপের ফিচার নিয়ে আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না।

ই-এশিয়া প্রাঙ্গনে শেষদিন দুপুর একটার মধ্যেই দোয়েলের স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ঠেলে স্টল পর্যন্ত গেলে তারা বাংলানিউজকে জানায়, গতকাল ৬৫টি দোয়েল ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে।

আর আজকে মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে ৪০টি ল্যাপটপ বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সংখ্যা অতিক্রম করে। ফলে স্টল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কোন মডেলটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এমন প্রশ্নে স্টল বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বেসিক০৭০৩ মডেলটি। এর দাম ১৩ হাজার ৫০০।

এ ছাড়া বাকি দুটি মডেল স্ট্যান্ডার্ড২৬০৩ এবং অ্যাডভান্স১৬১৬ মডেল দুটির বিক্রিও মন্দ ছিল না। দুটি মডেলের দমি যথাক্রমে ২০ হাজার ৫০০ এবং ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।

বাণিজ্যিকভাবে দোয়েলের বিক্রি এখনও শুরু হয় নি। যদিও টঙ্গীতে টেলিফোন শিল্প সংস্থার প্রবেশ পথে উৎপাদন মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে দোয়েল। তবে কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি প্রদর্শনীতে দোয়েল বিক্রি হয়।

মানবদেহের জটিল তথ্য জানাবে গুগল ‘বডি ব্রাউজার’




গুগল মানেই গ্রাহকবান্ধব সব সেবার অপর নাম। মানবদেহের জটিল সব সমস্যার ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ নিয়ে গুগল এবার নিয়ে এলো গুগল বডি ব্রাউজার। গুগল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মানব শরীরের নার্ভ সিস্টেম, রক্ত সঞ্চালনের গতিপ্রকৃতি, শারীরিক গঠনশৈলী, শরীরের স্পর্শকতার সব কলাকৌশল এ সবই জানিয়ে দেবে গুগল বডি ব্রাউজার সিস্টেম। তবে এ জন্য ওয়েবজেল অ্যাপলিকেশন ইনস্টল থাকবে হবে। অথবা ওয়েবজেল সমর্থিক ওয়েবব্রাউজার ইনস্টল থাকতে হবে।

ওয়েবজেল সমর্থিত ব্রাউজারের মধ্যে ক্রোম৯ বেটা এবং ফায়ারফক্স ফোর বেটা সংস্করণ অন্যতম। শরীরের আভ্যন্তরীণ কলাশৈলীর ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) চিত্রায়ন প্রদর্শন করতে সক্ষম বডি ব্রাউজার।

গুগল মুখপাত্র জানিয়েছেন, বডি ব্রাউজার হচ্ছে মানবদেহের কলাশৈলীর ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি। এরই মধ্যে আলট্রা নেভিগেশন, জুম ইন এবং আউট সুবিধাযুক্ত এ ব্রাউজার বিশ্বব্যাপী স্বাস্থপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এ মুহূর্তে ব্রাউজারভিত্তিক সীমাবদ্ধতা আছে। তবে অচিরেই এ সেবাকে আরও সহজসাধ্য করতে গুগল বডি ব্রাউজারের মানোন্নয়নে কাজ করছে। আগ্রাহীরা bodybrowser.googlelabs.com এ সাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।

(সংগৃহীত)